বগুড়ার শাজাহানপুর থেকে এক স্কুলছাত্রের হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এর পরও মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিহত স্কুলছাত্রের বাবা।
উপজেলার খরনা ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাব্বির হোসেনের বাড়ি কাহালু উপজেলার জামগ্রামে। সে জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
সাব্বিরের বাবা গোলাম রাব্বানী নিউজবাংলাকে জানান, তিনি ইজিবাইকের চালক। কিন্তু অসুস্থ থাকায় তার ছেলে এটি চালাত। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাব্বির তিনজন যাত্রী নিয়ে জামগ্রাম বাজারে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি।
বুধবার তিনি ছেলের নিখোঁজের বিষয়ে কাহালু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তিনি জানান, বুধবার রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে সাব্বিরের মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে সাব্বিরকে জীবিত ফেরত দিতে রাজি হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার তার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারী চক্র চালককে হত্যা করে তার ইজিবাইক নিয়ে গেছে। মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবির সূত্র ধরে পুলিশ ওই চক্রকে শনাক্ত করতে চেষ্টা করছে।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পরও ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে জানান সাব্বিরের বাবা।