নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা তার বোন রোকেয়া বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন কাদের মির্জার দুই বোন।
বসুরহাট থানার সামনের সড়কে কাদের মির্জার বড় বোন তাহেরা বেগম ও ছোট বোন রোকেয়া বেগম উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় তারা কাদের মির্জার শাস্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।
বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে ছোট বোন রোকেয়া বেগমের ছেলে ফখরুল ইসলাম রাহাত এবং বড় বোন তাহেরা বেগমের ছেলে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে কাদের মির্জার।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বসুরহাট থানাসংলগ্ন সেতুমন্ত্রীর বোন রোকেয়া বেগমের মালিকানাধীন এইচ.আর ভবনে কাদের মির্জার অনুসারীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রোকেয়া বেগম।
রোকেয়া বেগম বলেন, ‘মির্জার বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে আর কে আছে হামলা করার? মির্জাই তো এখন গডফাদার। পুলিশ তাকে প্রটেকশন দিচ্ছে, সে বিশাল ক্ষমতাধর।
‘মির্জার বাহিনী বাসায় হামলা করে আমার ছেলে রাহাতকে খুঁজতে থাকে। আমি তাদেরকে বলি আমি মন্ত্রীকে ফোন দিচ্ছি, তারা বলে মন্ত্রী কী করবে? তোর ছেলেকে বাইর করি দে, তখন দেখবি কী করি। এ সময় হামলাকারীরা বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।’
রোকেয়া বেগমের ছেলে ফখরুল ইসলাম রাহাত অভিযোগ করেন, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে তার বাসায় হামলা হয়েছে।
এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এটি তাদের সাজানো নাটক হতে পারে। কোম্পানীগঞ্জের শান্তি নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ‘কয়েকজন লোক রোকেয়া বেগমের বাসার গেটে লাথি মেরে গালমন্দ করেছে, এ ধরনের একটা সংবাদ আমরা পেয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে আছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’