বরগুনার আমতলী উপজলার চাওড়া ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনে জয়ী নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর ও বাড়ি-ঘরে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়ার অভিযাগ, নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর নৌকার প্রার্থী আকতারুজ্জামান বাদল খানের সমর্থকরা মঙ্গলবার রাতে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা তার ১৩ জন সমর্থককে মারধর করেছে ও ১১টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
এ ছাড়া রাতে হামলার শিকার এক ব্যক্তি বুধবার সকালে আমতলী পশুর হাটে ছাগল বিক্রি করতে এলে মারধর করে তার কাছ থেকে দুটি ছাগলও ছিনিয়ে নেয়া হয়।চাওড়া ইউনিয়নের সোয়েবগাজি নামের এক ব্যক্তি জানান, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন করায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাদল খানের লোকজন মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তাকে বাড়িতে না পেয়ে ঘর ভাঙচুর করে।
বুধবার আমতলী পশুর হাটে তিনি দুটি ছাগল বিক্রি করতে আসেন। ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বাদল খানের মামাতো ভাই মাহবুবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন তাকে মারধর করে ছাগল দুটি নিয়ে যায়। পরে তিনি বিষয়টি জানিয়ে আমতলী থানায় লিখিত অভিযাগ করেন।আমতলী উপজলা ছাত্রলীগর সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি ছাগল কিনতে বাজার গিয়েছিলাম। ছাগল দুটি দরদাম করে রসিদেন মাধ্যম কিনে এনেছি। ছাগলের মালিক সায়ব গাজীর অভিযাগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার কাছে ছাগল কেনার রসিদ আছে। চাওড়া ইউনিয়নে বাসিন্দা শহীদ গাজী জানান, তিনি সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে মহসিন মিয়ার পক্ষে কাজ করেছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ১৭টি মোটরসাইকলে ৪০ থেকে ৫০ জনের দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর করে। এ সময় এলাকার বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা হয়।ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আইনজীবী মহসিন মিয়া বলেন,‘ মঙ্গলবার রাতে বাদল খানের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের বেশ কিছু বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমার ১৩জন সমর্থক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে ১১টি বাড়িঘর। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’এ বিষয় জানতে ওই ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাদল খানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠাফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ছাগল ছিনিয়ে নেয়ার একটি অভিযোগ পেয়ে বাজারে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলার বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।