বাগেরহাট জেলাজুড়ে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় জেলায় করোনা সংক্রমণের হার আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। সংক্রমণের হার ৪০ থেকে ৭৩ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ২৪ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জেলায় ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, লকডাউন চলাকালে ব্যক্তিগত যানবাহন থেকে শুরু করে সব ধরনের যাত্রীবাহী গণপরিবহন ও নৌযানসহ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার, মুদিদোকান, হোটেল-রেস্তোরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না। মসজিদে ৩ ফুট দূরত্ব মেনে ২০ জন পর্যন্ত মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। কোনো সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বিষয়টিকে প্রধ্যন্য দিয়ে মোংলা বন্দর এই লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। তবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মোংলা বন্দর জেটি ও পশুর চ্যানেলে নোঙ্গর করা জাহাজের নাবিকরা মোংলা বন্দরে নামতে পারবেন না।
জেলা প্রশাসক করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য লকডাউন চলাকালে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, লকডাউন না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত করা হবে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে করোনায় মারা গেছেন তিন জন। নতুন করে ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বাগেরহাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৫২ জনে দাঁড়াল। মারা গেছেন ৭৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৩ জন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৩৫ জন।