বরিশালের গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটের দিন মৌজে আলী মৃধা নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে নবনির্বাচিত মেম্বার ফিরোজ মৃধাকে। তবে মামলার বাদীর দাবি, মামলায় নাম ছিল না ফিরোজের।
ফিরোজের মুক্তির দাবিতে বুধবার দুপুরে থানা ঘেরাও করেন গ্রামবাসী।
গত সোমবার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন কমলাপুর ভোটকেন্দ্রে বোমা হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় মৌজে আলী মৃধা নিহত হন। পরে গৌরনদী থানায় মামলা করেন মৌজে আলীর ছেলে নজরুল মৃধা। ওই মামলায় সোমবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় ফিরোজ মৃধাকে। তবে নজরুলের করা মামলায় নাম ছিল না ফিরোজের।
বুধবার থানা ঘেরাওয়ের আগে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নজরুল। এ সময় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ফিরোজকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশের নাটকীয়তার প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ফিরোজ মৃধার মুক্তিসহ প্রকৃত বোমা হামলাকারী মন্টু হাওলাদার এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
নজরুল মৃধা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যারা বোমা হামলা করেছেন, অর্থাৎ মন্টু হাওলাদার ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার না করে আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ফিরোজ মৃধাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ফিরোজ মৃধাকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছে এজাহারে, আমি তার নাম দিইনি। আমরা দ্রুত মেম্বার ফিরোজের মুক্তি চাই এবং প্রকৃত হামলাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে থানার ওসি আফজাল হোসেন বিক্ষুব্ধদের দাবি অনতিবিলম্বে পূরণ করার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও ফিরোজকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ওসি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারব।’