বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাহাড়ে ৪৭ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২১ ১৭:৪৬

পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরতদের সরে যেতে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। পাহাড়গুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন রয়েছে, তাদের চিঠি পাঠিয়েছিল জেলা প্রশাসন। স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

চট্টগ্রামের লালখান বাজারসংলগ্ন এ কে খান পাহাড়ে অবৈধভাবে নির্মিত ৪৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতি বিবেচনায় সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চলে।

জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিসহ যৌথ অভিযান চলে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান ও ফাহমিদা আফরোজ।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, ‘পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরতদের সরে যেতে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। পাহাড়গুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন রয়েছে, তাদের চিঠি পাঠিয়েছিল জেলা প্রশাসন। স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।’

চট্টগ্রামের পাহাড় ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত কমিটির তথ্যমতে, নগরের ২৫টি পাহাড়ে এক হাজারের বেশি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।

২০১৯ সালে করা আরেকটি তালিকা অনুযায়ী, ১৭টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে ৮৩৫টি পরিবারের। এ ছাড়া বায়েজিদ–ফৌজদারহাট লিংক সড়ক নির্মাণের সময় নতুন করে ১৬টি পাহাড় কাটা হয়। সেখানকার ৮ পাহাড়ে নতুন করে অবৈধ বসতি গড়ে উঠেছে।

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরতদের সরাতে সম্প্রতি জেলা প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ নেয়। এ জন্য পাহাড়ের মালিকানায় থাকা প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে নোটিশ দেয়া হচ্ছে। তাতে সাড়া না পেলেই চলছে উচ্ছেদ অভিযান।

অভিযানের আগে অবৈধ এসব স্থাপনার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপকের (বিপণন) কাছে চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন।

পাহাড়ে বুধবার যৌথ অভিযান পরিচালনার সময় পরিবেশ অধিদপ্তর, পিডিবি ও কর্ণফুলী গ্যাসের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর