এর আগে বেতন বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। সেই আবেদন কার্যকরের পর এখন তিনি পান মাসে ৬ লাখ টাকারও বেশি।
গুঞ্জন উঠেছে, তাকে অনুসরণ করে বেতন বাড়াতে চাইছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহও।
ভাতাসহ মাসে ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। এই বেতনে চলতে পারছেন না জানিয়ে করেছেন বেতন বাড়ানোর আবেদন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গঠন করা হয়েছে কমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এটি (বেতন বাড়ানো) একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এমডি হিসেবে তিনি আবেদন করেছেন। আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি। কমিটি করে দিয়েছি। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, আবেদন কার্যকর হলে এমডি ফজলুল্লাহর বেতন হবে ৮ লাখ টাকার কাছাকাছি।
৪ মে ওয়াসার বোর্ড সভায় চট্টগ্রামের এমডির বেতন বাড়ানোর আবেদন উপস্থাপন করা হয়। সেই সভাতেই বেতন বাড়ানোর বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। চার সদস্যের কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে ওয়াসার বোর্ড সদস্য সত্যজিৎ কর্মকারকে।
২০০৯ সালের ৬ জুলাই ওয়াসার চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন সংস্থাটির সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসায় এমডি পদ সৃজন করা হয়। এরপর এমডি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
২০২০ সালের অক্টোবর এমডি হিসেবে তার মেয়াদ আরও তিন বছরের জন্য বাড়ানো হয়।
ওয়াসার হিসাব শাখার তথ্য অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ফজলুল্লাহ মাসে মূল বেতন পেতেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে বেতন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মূল বেতন নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, আনুষঙ্গিক ভাতাসহ যার পরিমাণ ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াসার ওই বোর্ড সদস্য বলেন, ‘এমডি আবেদন করেছেন মূল বেতন সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার জন্য। এটি কার্যকর হলে তার বেতন হবে ৮ লাখ টাকার মতো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমডি ফজলুল্লাহ বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে নয়, একটি সংস্থার প্রধান হিসেবে আমি বেতন বাড়ানোর আবেদন করেছি। এটি আমি শুধু ভোগ করব তা নয়, আমার পরে যিনি এমডি হবে তিনিও ভোগ করবেন।
তিনি বলেন, ‘সবকিছু দাম বেড়েছে। খরচও বাড়ছে। এজন্য আবেদন করেছি, আমি আবেদন করতেই পারি। এখন তারা (বোর্ড) যদি বাড়ায় বেতন বাড়বে, নয়তো বাড়বে না।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য ও এমডির বেতর বৃদ্ধি বিষয়ক কমিটির সদস্য শওকত হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কমিটির প্রধান সত্যজিৎ কর্মকারের পদোন্নতি হয়েছে। এজন্য তিনি অন্যত্র বদলি হয়েছেন। ফলে কমিটির প্রধান পদটি শূন্য।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া কমিটির আরেক সদস্য জহুরুল ইসলামের চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই এখন পর্যন্ত কমিটির কোনো বৈঠক হয়নি। তবে বেতন বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা করতে যেসব কাগজপত্র দরকার হবে সেগুলো ওয়াসার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে।’