হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর করা একটি মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস কে এম তোফায়েল হাসান মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটির আরজি দাখিল করেছিলেন সাংসদ উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
চট্টগ্রামের সহকারী মহানগর পিপি রুবেল পাল বলেন, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মামলার আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
খারিজের কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারণ এখনও জানা যায়নি। নথি হাতে পেলে সেটি জানা যাবে।
এর আগে করা মামলার আরজিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে সরকারি-বেসরকারি ৫৭টি প্রতিষ্ঠানে হামলার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল ভাঙচুর করে। পরে ৩১ মার্চ আসামিরা সংবাদ সম্মেলন করে এসব তাণ্ডবের জন্য উল্টো সংসদ সদস্য মোকতাদিরকে দায়ী করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন।
এ জন্য সাংসদ উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় মিলে ১৯ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও এক শ থেকে দেড় শ জনের নাম মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ (২), ২৫ (২) ও ২৯ (২) ধারায় দাখিল করা আরজিকে মামলার এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিতে আবেদন করেন সাংসদ।
গত ২৬ মার্চ থেকে টানা তিন দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালান হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এসময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
তাণ্ডবের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হন। এসব ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে।