শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
মৃতের স্বজনরা বলছেন, হত্যার পর তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফনের চেষ্টাও করা হয়। তবে পুলিশের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ভেস্তে গেছে।
দুই সন্তানের জননী মৃত গৃহবধূর নাম নাসিমা বেগম। তিনি সদর উপজেলার মুন্সিরচর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী।
মফিজকে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। তখন গৃহবধূকে দাফন-কাফনের প্রস্তুতি চলছিল।
পুলিশ ও পারিবারের সদস্যরা জানান, ১০ বছর আগে মফিজের সঙ্গে জামালপুরের ডিগ্রিরচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে নাসিমার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই নানা সময় নাসিমাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন মফিজ। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়।
সম্প্রতি মফিজ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। নাসিমার পরিবার যৌতুক দিতে না পারায় তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।
নাসিমার বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়েডারে ৫০ হাজার টেহার নাইগ্যা মাইরা ফেলাইছে। মাইরা আমাগো না কইয়াই কবর দেওন নাগছিল। আমি এর বিচার চাই।’
নাসিমার মা জাহানারা বলেন, ‘আমার মাইয়াডারে মাইরা ফালাইছে। আমি আমার মাইয়ারে যে মারছে, আমি তার ফাঁসি চাই।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ বলেন, ‘নাসিমার গলার বামপাশে কালচে দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হান্নান মিয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’