যশোরে করোনায় ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার মারা গেছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৫৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন।উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ। যে কারণে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রশাসন বলছে, লকডাউন কার্যকর করতে আরও কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। সেই সঙ্গে জনগণকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের।স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, মঙ্গলবার মারা গেছেন ১০ জন। তাদের মধ্যে ছয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং বাকি চারজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ।আক্রান্তদের মধ্যে একাধিক সাংবাদিক ও যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন। এ ছাড়া হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি আছেন ৮৯ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন ৬৫ জন। শয্যা খালি না থাকায় অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালের মেঝেতে রাখা হয়েছে। এখন হাসপাতালের মেঝেতেও জায়গা নেই।যশোর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বলেন, ‘যশোরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। কঠোর লকডাউন ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। হাসপাতালে করোনা রোগীদের জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। চাপ কমানোর জন্য মঙ্গলবার থেকে বেসরকারি জনতা হাসপাতালে ভারতফেরত রোগীদের রাখা হচ্ছে।’যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ। যে কারণে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যশোরে করোনায় ও উপসর্গে মৃত্যু ১০
যশোর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বলেন, ‘যশোরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। কঠোর লকডাউন ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। হাসপাতালে করোনা রোগীদের জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। চাপ কমানোর জন্য মঙ্গলবার থেকে বেসরকারি জনতা হাসপাতালে ভারতফেরত রোগীদের রাখা হচ্ছে।’
-
ট্যাগ:
- করোনা
এ বিভাগের আরো খবর/p>