নড়াইলের কালিয়ায় স্বামীর সহযোগিতায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
রোববার রাতে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে ওই নারী সেনাবাহিনীতে কর্মরত স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় মামলা করেন।
মঙ্গলবার রাতে আসামিদের আটকের পর চারজনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। তার স্বামীকে যশোর সেনানিবাসে হস্তান্তর করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ওই নারীর প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকে স্বামী তাকে নির্যাতন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে গ্রামের এক যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন।
মামলায় আরও বলা হয়, রোববার রাত ২টার দিকে ওই যুবকসহ চার আসামি তার বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। তিনি দরজা খুলতে রাজি না হলে আসামিরা তার স্বামীর মোবাইল নম্বরে কল দেন। পরে স্বামীর নির্দেশে তিনি দরজা খোলেন। দরজা খোলার পর আসামিরা সন্তানদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ছাড়া ধর্ষণের দৃশ্যধারণ করে যশোর সেনানিবাসে থাকা স্বামীকে পাঠানো হয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর ওই নারীর স্বামী ছুটি নিয়ে বাড়িতে গেলে তাকে হেফাজতে নেয়া হয়। সেনাসদস্য হওয়ায় তাকে সেনানিবাসে হস্তান্তর করা হয়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া জানান, গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে পাঠানো হয়েছে নড়াইল সদর হাসপাতালে।