ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় মামলা হয়েছে চট্টগ্রামে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক উল্লাহসহ ১৯ জনের নাম রয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে এক থেকে দেড় শ জনকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের এস কে এম তোফায়েল হাসানের আদালতে এই মামলা করেন।
বাদীর আইনজীবী এইচ এম জিয়াউদ্দিন নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আদালত মামলা আমলে নিয়েছে।
এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী গত ১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতের নেতা-কর্মীদের নামে অভিযোগ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না হওয়ায় এমপি আলটিমেটাম দেন। তখন পুলিশ জানায়, সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া মামলা নেয়া হবে না। এর মধ্যেই চট্টগ্রামের ওই আদালতে এজাহার জমা দিলে মামলা নথিভুক্ত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ফাইল ছবি
হেফাজতের স্থানীয় দুই শীর্ষ নেতা ছাড়াও আসামিদের মধ্যে আছেন আশরাফুল হোসেন তপু, বোরহান উদ্দিন কাসেমি, আলী আজম, এরশাদ উল্লাহ, জুনায়েদ কাসেমি, নোমান আল হাবিব, মমিনুল হাসান তাজ, সুলেমান মোল্লা, এনামুল হক, আব্দুল হাকিম, মনজুরুল হক ও খালেদ মোশাররফ।
এজাহারে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালান হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। তারা সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র, গানপাউডারসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করেন।
সাজিদুর রহমান ও মোবারক উল্লাহসহ অন্য আসামিদের নির্দেশে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, আইডি ও নিউজ পোর্টালে বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক স্ট্যাটাস দিয়ে জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। যদিও ৩১ মার্চ অভিযুক্তরা সংবাদ সম্মেলন করে এসব তাণ্ডবের জন্য এমপিকে দায়ী করেন।