চুয়াডাঙ্গায় করোনা রোগী সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। একদিনে জেলায় ৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেলায় সর্বোচ্চ শনাক্ত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জীবননগর উপজেলায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার রাত ১০টায় জেলা প্রশাসন এসব তথ্য জানিয়েছে।এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগদেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় জীবননগর উপজেলায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়।
ভিডিও কনফারেন্সে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানসহ জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা যুক্ত ছিলেন। জেলা প্রশাসক জানান, সংক্রমণ বাড়ায় জীবননগর উপজেলাকেও লকডাউনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
এদিকে রোববার সকাল ৬টা থেকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন করা হয়। তার আগে ১৫ জুন লকডাউন করা হয় সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলা। আর ১৮ জুন বিশেষ বিধি নিষেধ জারি করা হয় জীবননগর উপজেলায়।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সোমবার রাতে ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এর মধ্যে ৮২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ৬৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। নতুন শনাক্ত ৮২ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৩৫ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৭ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ২০ জন ও জীবননগর উপজেলার ২০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩২ জনে।
গত ২৪ ঘন্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪ জনে।
স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানায়, জেলায় বর্তমানে রোগী ৬৩৮ জন। এরমধ্যে বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৮৪ জন। হাসপাতালে ৫০ জন।