বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হঠাৎ ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়

  •    
  • ২২ জুন, ২০২১ ০০:২০

ঢাকায় ঢোকার চার প্রবেশ পথ গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ মঙ্গলবার সকাল থেকে যাচ্ছে কঠোর লকডাউনে। সোমবার বিকেলে এই সিদ্ধান্ত আসার পর রাজধানীতে আসতে চাওয়া মানুষরা ভিড় করেন বাস টার্মিনালে।

ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে আরাফাত রহমান ছয় দিনের ছুটিতে গত শনিবার ময়মনসিংহে আসেন। কিন্তু ছুটি কাটানোর আগেই ছুটতে হয়েছে তাকে রাজধানীতে।

না, অফিস থেকে তার ডাক পড়েনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ী জেলায় যান চলাচল বন্ধ হবে শুনেই তিনি ছুটেছেন বাসস্ট্যান্ডে, লক্ষ্য ঢাকার বাস ধরা।

সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ পাটগুদাম বাস টার্মিনালে গিয়ে আরাফাতকে দেখা গেল। তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে গাড়ি যদি চলতে না পারে, তাহলে ছুটি শেষে ঢাকায় যেতে চরম ভোগান্তি হবে। তাই আগেই চলে এসেছি।’

বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে যত মানুষ পাওয়া যায়, তাদের বেশিরভাগই আরাফাত রহমানের মতো। পরিকল্পনা না থাকলেও হঠাৎ করেই রওনা হতে হয়েছে তাদের।

টার্মিনালে প্রতিদিনের চেয়ে যানবাহনে যাত্রীর চাপ বেশি দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতাও দেখা যায়নি। বেলিরভাগ যাত্রী চালক মাস্ক পড়লেও তা থুতনির নিচে ঝুলিয়ে রাখেছেন।

যাত্রী ও চালকরা জানিয়েছেন, ঢাকায় ঢুকতে গেলে গাজীপুর দিয়েই যেতে হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। তারা হঠাৎ করেই তারা চলে এসেছেন টার্মিনালে।

ঢাকাগামী বাস লিজার চালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, অন্যান্য দিনগুলোতে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতে হয়। ভাড়া নিয়েও মাঝেমধ্যে যাত্রীদের সঙ্গে বাধে বাগবিতণ্ডা। তবে বিকেল থেকেই সম্পূর্ণ বিপরীত। যাত্রীর অভাব নেই, ঠিক তেমনি ভাড়া নিয়েও কোনো বাগবিতণ্ডা নেই।

ঢাকাগামী বাসের (ড়্রিমল্যান্ড) আরেক চালক রমজান বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ময়মনসিংহ থেকে যেসকল বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে তারা রাস্তায় থেমে থেমে যাত্রী নিয়েছে। তবে বিকেল থেকে সবগুলো গাড়িতেই যাত্রীর কমতি ছিল না। ফলে ডাকাডাকির আগেই যাত্রী পেয়েছেন তারা।

এই বাসের হেলপার শাহজাহান বলেন, ‘একটা যাত্রীর লাইগ্যা কত টানাটানি করণ লাগে। আইজ কারো লগে কতা কওয়ার আগেই যাত্রী এমনিতেই আওয়া শুরু করছে। কাইলকা থাইক্যা গাড়ি যদি ঢাহাতে না যায়, তবে, অন্য রোডের গাড়িত যাইয়্যা কাজ করবাম।’

মাস্ক পরে থাকা সাব্বির হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বাসের অধিকাংশ যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। গাড়ির লোকজনের তো কোনো সচেকতনাই নেই। এতে আমরা যারা মাস্ক ব্যবহার করি, তারাও ঝুঁকিতে পড়ে যাই। তবুও বাধ্য হয়েই চলাচল করতে হয়।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মেনেই গাড়ি চলাচল করবে। গাজীপুরের হয়েই যেহেতু ঢাকা যেতে হয় সেহেতু সকাল থেকে শেষ সীমানা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর