ভোলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) তিনটিতে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী। প্রাথমিক ফল পাওয়া ছয় ইউপির মধ্যে অন্য তিনটিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
জেলায় এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের ছয় চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে পাঁচজন চরফ্যাশন উপজেলায় এবং একজন বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।
মনপুরা উপজেলা রির্টানিং অফিসার সঞ্জীব কুমার সরকার, বোরহানউদ্দিন উপজেলা রিটানিং অফিসার মো. শহীদুল্লাহ এবং তজুমদ্দিন উপজেলা রির্টানিং অফিসার মো. আমির খসরু গাজী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার বেসরকারি ফলে চেয়ারম্যান হয়েছেন যারা-
মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী অলিউল্ল্যাহ কাজল ৮ হাজার ৮০২ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মোতালেব পেয়েছেন ৩৫৬ ভোট।
হাজিরহাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জয় পান ৭ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার শাহরিয়ার চৌধুরী দিপক পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯২ ভোট।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নে মহিবুল্লাহ মৃধা নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদুর রহমান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৯০৪ ভোট।
তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নে জয়ী নৌকার প্রার্থী আবু তাহের পান ৫ হাজার ৬২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াদ হোসেন হান্নান পেয়েছেন ১ হাজার ৪৬৫ ভোট।
সম্ভপুর ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রাসেল। পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যক্ষ মাইনুদ্দিন আনারস প্রতীকে পান ৬ হাজার ১৬১ ভোট।
এ ছাড়া চাঁদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম শহিদুল্লাহ কিরন অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফকরুল আলম নৌকা প্রতীকে পান ৪৮৭ ভোট।
এ ছাড়া জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন মাদ্রাজ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল হাই, হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার, জাহানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সম্পাদক নাজিম উদ্দিন হাওলাদার।
এ ছাড়া চরকলমী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কাউছার মাস্টার, এওয়াজপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খোকন আলম এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের রেজাউল করিম রিয়াজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।