চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া আরও ১৯ জন বাংলাদেশি।
এ নিয়ে গত ৩৫ দিনে এই চেকপোস্ট দিয়ে ৯৫৩ জন দেশে ফিরলেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারতের গেদে চেকপোস্ট হয়ে দেশে প্রবেশ করেন ওই বাংলাদেশিরা।
দেশে ফেরার পর ওই চেকপোস্টের অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পে তাদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল। তবে এদিন কারও শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম জানান, কোলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) নিয়ে সোমবার ১৯ বাংলাদেশি দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। তবে তাদের কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। সেখান থেকে নির্ধারিত পরিবহনযোগে ১৬ জনকে জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ও তিনজনকে স্থানীয় হোটেল ভিআইপিতে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধসংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশের অভিবাসন শাখা (ইমিগ্রেশন) ও শুল্ক বিভাগের (কাস্টমস) আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতফেরত ব্যক্তিদের নির্ধারিত পরিবহনে (মাইক্রোবাস) জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তারা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত ভারতফেরত ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি দুজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।