বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র ও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে বিজিবির গুলিতে একজন আহত হয়েছেন।
সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রথমে লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়ে পরে গুলি চালায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গুলিতে আহত টিটু সিকদার বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকার ফোরকান সিকদারের ছেলে। স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিউর রহমান রাজা তাকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের নির্বাচনি কর্মকর্তা কিরণ মাতুব্বর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আরশেদ আলী খান চেয়ারম্যানবাড়ির ভোটকেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী ইলিয়াস শরীফ স্বপন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিউর রহমান রাজার সমর্থকদের সঙ্গে বিকেল ৪টার আগে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
তারা ব্যর্থ হলে বিজিবি সদস্যরা উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের চেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গুলিবিদ্ধ টিটু সিকদারকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই কেন্দ্রের নির্বাচনি কর্মকর্তা কিরণ মাতুব্বর জানান, ভোট গ্রহণের শেষ মুহূর্তে নৌকার প্রার্থী স্বপনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মতিউরের কর্মী ও সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে।
এ বিষয়ে কথা বলতে নৌকার প্রার্থী স্বপনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিউরের দাবি, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নৌকার প্রার্থী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ওই কেন্দ্রে ঢুকে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা চালান। ওই সময় তার সমর্থকরা বাধা দিলে নৌকার সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালান।
ওই কেন্দ্র ছাড়া বরগুনার ২৯টি ইউনিয়ন পরিষদে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলে। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও ছিল সন্তোষজনক।
এদিকে বেশ কিছু ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধ্য করা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া ও জাল ভোটের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কোথাও সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সবার সহযোগিতায় একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সমর্থ হয়েছি।’