ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দাফনের ৩৯ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে এক কিশোরীর মরদেহ।
উপজেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর অবৈধ গর্ভপাত করানোর অভিযোগ করেছিল তার বাবা। এ ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাশপিয়া তাসরিনের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
গত ২৩ মে ওই কিশোরীর বাবা ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ৩১ মে আদালতের নির্দেশে মামলাটি ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নথিভুক্ত হয়।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার ৯ নম্বর উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, তার ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হক, ওই কিশোরীর মা, দুলাল এবং মাহাবুব।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান শফিক ওই কিশোরীর মায়ের মৌন সম্মতিতে বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিবাদীরা কবিরাজি ওষুধ দিয়ে ওই কিশোরীর গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন।
এতে কিশোরী অসুস্থ হলে ৯ মে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিতে বলেন। কিন্তু তাকে ঢাকা না নিয়ে বাড়িতে রাখা হয়।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কিশোরী আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে ১১ মে তাকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ মে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ১৩ মে কিশোরীর দাফন হয়।
এ বিষয়ে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়মনসিংহ জেলা ডিবির পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক আহমেদ বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।