বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

  •    
  • ২১ জুন, ২০২১ ০১:০৭

বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের প্রায় সব সদস্য ফাতেমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। পরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বেশ কিছু দিন বাবার বাড়িতে থাকার পর গত শুক্রবার  গ্রামীণ সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে ফাতেমাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। পরদিন ফতুল্লা থেকে খবর আসে ফাতেমা আত্মহত্যা করেছেন।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ফাতেমা নামের এক গৃহবধূকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় না এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

ফাতেমা বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের নাগগাঁতী গ্রামের আজাদ শেখের মেয়ে । এ ঘটনায় আজাদ শেখ ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ অভিযোগকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

ফাতেমার বড় চাচা মজনু শেখ নিউজবাংলাকে জানান, প্রায় দুই বছর আগে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তামাই (করিয়ান) পাড়া গ্রামের হাজী আবু তালেবের ছেলে ইয়াসিনের সঙ্গে ফাতেমার বিয়ে হয়। তাদের ৯ মাসের একটা সন্তান রয়েছে। ইয়াসিনের বাড়ি তামাই গ্রামে হলেও তাদের পরিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় বসবাস করেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের প্রায় সব সদস্য ফাতেমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। পরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বেশ কিছু দিন বাবার বাড়িতে থাকার পর গত শুক্রবার গ্রামীণ সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে ফাতেমাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। পরদিন ফতুল্লা থেকে খবর আসে ফাতেমা আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার রাতেই পরিবারের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ যায়। ফাতেমার মরদেহ দেখে সন্দেহ হয় যে তিনি আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই হত্যাকাণ্ডকে ইয়াছিন ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার বিকেলে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়।

ফাতেমার বাবা আজাদ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার ওসি রকিবুজ্জামান মুঠোফোনে নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর