ময়মনসিংহের নান্দাইলে হাত-পা বাঁধা ও মুখে বালিশচাপা অবস্থায় এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের পর চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
মৃত জাহিদ তালুকদার হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার গানপুর গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের নাঈম ইসলাম, রাজধানীর কোটবাড়ী এলাকার হোসেন আলী, ময়মনসিংহের নারায়ণপুর গ্রামের রাসেল মিয়া ও একই এলাকার সুমন মিয়া।
নিউজবাংলাকে রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে জাহিদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতে মৃতের বড় ভাই আসাদ মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরদিন (শনিবার) ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তারের পর নাঈম ইসলাম জানান, প্রায় ছয় মাস ধরে তারা আটজন হকার ও মহাজন জাহিদ মিলে নান্দাইলের ওই গ্রামের চৌরাস্তা এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে কাঠের তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্রের ব্যবসা করছিলেন। মহাজনকে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকা জমা দিতে হতো। এর মধ্যে এক দিনের প্রায় তিন হাজার টাকা তিনি মহাজনকে দেননি।
এ নিয়ে প্রতিদিন তাগাদা দিতেন জাহিদ। একপর্যায়ে নাঈম ঢাকায় চলে আসেন। ঘটনাটি বন্ধুদের জানান তিনি। বন্ধুরা সিদ্ধান্ত দেন, নান্দাইলে গিয়ে জাহিদকে হত্যা করবেন।
এ কথায় রাজি হয়ে নাঈম ও তার তিন বন্ধু বৃহস্পতিবার রাতে নান্দাইলে এসে জাহিদের বাসায় ওঠেন। পরে রাতে খেয়ে জাহিদ ঘুমিয়ে পড়েন। তখন চারজনে মিলে তাকে হাত-পা বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন।
পরদিন শুক্রবার খুব ভোরে তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। সঙ্গে নিয়ে যান জাহিদের দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ এক হাজার টাকা।
শাহ কামাল আকন্দ আরও বলেন, রোববার দুপুরে তাদের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে জবানবন্দি দিয়েছেন সবাই। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।