ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানজট এড়াতে চালু হয়েছে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস।
কয়েক শ যাত্রী নিয়ে রোববার সকাল সোয়া ৭টার দিকে তুরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এলাকার লোকজন জানান, গাজীপুরের যানজট এড়াতে এবং যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের প্রচেষ্টায় এ ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালুর তথ্য জানান।
গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশন স্টেশনের মাস্টার মো. রেজাউল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকা ট্রেনগুলোর মধ্যে তুরাগ, কালিয়াকৈর ডেমু ও টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন তিনটি গাজীপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করবে।
রোববার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে তুরাগ ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ট্রেনটি ফিরবে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি সকাল ৮টা ২০ মিনিটে গাজীপুর থেকে ছেড়ে যাবে। ঢাকা ছেড়ে আসবে সন্ধ্যা ৬টায়। আর কালিয়াকৈর ডেমু ট্রেন গাজীপুর ছেড়ে যাবে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে। ঢাকা থেকে ছাড়বে পরের দিন বেলা ১টা ৫০ মিনিটে।
গাজীপুর প্যাসেঞ্জার কমিউনিটির সভাপতি শামসুল হক জানান, যানজটে নাকাল গাজীপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। এতে গাজীপুরবাসী রেলমন্ত্রী, যুবও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, তুরাগ ট্রেনটি গাজীপুর থেকে ঢাকায় গিয়ে সারা দিন বসে থাকে। এ ট্রেনটিকে সেখানে বসিয়ে না রেখে আরও কয়েকটি ট্রিপ দেয়া গেলে বেশি যাত্রী ঢাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারত।
রোববার সকালে ট্রেন সার্ভিস চালু উপলক্ষে জয়দেবপুর রেলস্টেশনে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী আলিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আরিফুল ইসলামসহ অনেকে।
রাজধানীর পাশে গাজীপুর এবং উত্তরাঞ্চলসহ ৩৭টি জেলার যাত্রীদের ঢাকা প্রবেশের সময় চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটে পড়তে হয়। এ অংশে বিআরটি প্রকল্পের উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় আধা ঘণ্টার পথ যেতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
অব্যাহত যানজটের কারণে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে এ তিনটি ট্রেন সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়।