বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কটূক্তিতে করোনা আক্রান্তের আত্মহত্যার অভিযোগ

  •    
  • ২০ জুন, ২০২১ ১৫:৩২

ময়না খাতুন বলেন, ‘করোনা হওয়ার পর আমার স্বামী মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েন। কিন্তু সে শারীরিকভাবে সুস্থই ছিল। সে আলাদা ঘরে ছিল। কিন্তু সব সময় আমিই তার দেখাশোনা করতাম। আজ সকালেও তার কাশির শব্দ শুনতে পাই। পরে খাবার দিতে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ায় ফাঁস দিয়ে সে ঝুলছে।’

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সামাজিক কটূক্তির কারণে একজনের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার গড়গড়ি গ্রাম থেকে রোববার সকাল ১০টার দিকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আবদুর রাজ্জাকের বাড়ি ওই গ্রামেই। তিনি একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।

আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী ময়না খাতুন জানান, বেশ কিছুদিন জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন রাজ্জাক। গত ১৬ জুন তার শরীর থেকে নমুনা নেয়া হয়। ওই দিন অ্যান্টিজেন টেস্টে তিনি করোনা শনাক্ত হন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি।

হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরার পর তাদের বাড়ি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। এতে গ্রামের অন্যান্য মানুষ তাকে কটূক্তি করে। তাদের পরিবারের কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে দিত না গ্রামের মানুষ। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়।

ময়না খাতুন বলেন, ‘করোনা হওয়ার পর আমার স্বামী মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েন। কিন্তু সে শারীরিকভাবে সুস্থই ছিল। সে আলাদা ঘরে ছিল। কিন্তু সব সময় আমিই তার দেখাশোনা করতাম। আজ সকালেও তার কাশির শব্দ শুনতে পাই। পরে খাবার দিতে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ায় ফাঁস দিয়ে সে ঝুলছে।’

জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন বলেন, ‘করোনা শনাক্ত হলে ১৭ জুন তার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়। সকালে তার আত্মাহ্যার খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে যায়। পরে পুলিশে খবর দিই। আমার ধারণা, রাজ্জাক সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার কারণে আত্মহত্যা করেছেন।’

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর