বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বসতঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

  •    
  • ২০ জুন, ২০২১ ০১:৫৮

‘বিয়ের সময় ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই টাকা এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি। এ জন্য প্রায়ই মেয়েকে মারধর করতেন তরুণ। শনিবার বিকালেও তানজিনার মা তাকে দেখে এসেছে। তখনও টাকার কথা বলেছিলেন তরুণ। ঘরের গরুটা বিক্রি করে টাকাটা দিতে হবে বলে তরুণকে জানিয়ে আসেন তার শ্বাশুড়ি। তারপরও টাকার জন্য আমার মেয়েটাকে তারা মেরে ফেলল।’

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় স্বামীর বসতঘর থেকে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উপজেলার উদিয়ারপাড় খালপাড়হাটি এলাকা থেকে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

গৃহবধুর নাম তানজিনা আক্তার। তিনি উপজেলার জয়সিদ্দি ইউনিয়নের করণসী গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে।

ইটনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান হাবীব নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০ বছর বয়সী তানজিনার বাবা আব্দুল করিম নিউজবাংলাকে জানান, গত বছর বর্ষাকালে উদিয়ারপাড় খালপাড়হাটি এলাকার ফখরউদ্দীনের ছেলে তরুণের সঙ্গে বিয়ে হয় তার মেয়ে তানজিনার।

‘বিয়ের সময় ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেই টাকা এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি। এ জন্য প্রায়ই মেয়েকে মারধর করতেন তরুণ। শনিবার বিকালেও তানজিনার মা তাকে দেখে এসেছে। তখনও টাকার কথা বলেছিলেন তরুণ। ঘরের গরুটা বিক্রি করে টাকাটা দিতে হবে বলে তরুণকে জানিয়ে আসেন তার শ্বাশুড়ি। তারপরও টাকার জন্য আমার মেয়েটাকে তারা মেরে ফেলল।’

তানজিনার বাবা আরও জানান, ‘আমার মেয়েটা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই অবস্থার মধ্যেও তরুণ প্রায় রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরতেন। আবার অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথাও বলতেন তরুণ। এই বিষয়গুলো নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।

তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েটাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নাটক তৈরি করেছে তারা। আমি মামলা করব, আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

অপরদিকে তানজিনার শ্বশুর, (তরুণের বাবা) ফখরউদ্দীন নিউজবাংলাকে জানান, মেয়েটার মাথায় সমস্যা। অনেকদিন যাবৎ ফাঁসি লাগার চেষ্টা করতেছে। আমি এই বিষয়টা তার বাবার বাড়িতেও জানিয়েছি।’

‘আজকে সন্ধ্যার সময় হঠাৎ করে শুনি আমার হাফবিল্ডিং ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে তানজিনা। পরে আমার ছেলে মেয়েরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’

পুলিশকে খবর দিয়ে ওনারা আসার আগেই মরদেহ আপনারা উদ্ধার করলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছি জীবিত আছে। তাই মরদেহটি নামিয়েছিলাম হাসপাতালে নেয়ার জন্য। পরে তার বাবার বাড়িতে খবর দিয়েছি।’

ইটনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই তার স্বামীর বাড়ির লোকজন মরদেহটি নামিয়ে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে আমরা সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে মরদেহটি থানায় নিয়ে এসেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর