ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সব সংস্কার কাজ দুই দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক ও সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক।
শনিবার সকালে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের চলমান কাজ পরিদর্শনে এসে এ নির্দেশ দেয়ার কথা জানান তিনি।
যানজট নিরসনে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে রাজধানীর বিমানবন্দর পর্যন্ত চলছে এই প্রকল্পের কাজ।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও বিআরটি-এর ধীরগতির নির্মাণকাজের কারণে মহাসড়কের টঙ্গী-গাজীপুর অংশে খানাখন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হয়ে তীব্র যানজট হচ্ছে। জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মাত্র ১৩ কিলোমিটার যেতে সময় লাগছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা।
সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেকোনোভাবেই হোক এই জনদুর্ভোগ অতিদ্রুত দূর করতে হবে। সেজন্য নির্দেশ দিয়েছি আগামী দুই দিনের মধ্যে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা কাজ করে সমস্ত সংস্কার কাজ শেষ করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুজন ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছি, ১০ দিনে ৫০ জন করে কাজ করতে যদি ৫০০ লোক লাগে, দুই দিনে যেন সে কাজটি করে ফেলে। যদি লোক না পান, আমাকে বলবেন আমি লোক দিব।’
বিআরটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে কথা বলেন সড়ক ও সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক
বিআরটি-এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জেনেছি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংকটে রয়েছে। তারা ঠিকভাবে টাকা-পয়সা দিতে পারছে না।
‘চায়না প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাই আমরা অ্যাম্বাসিকে জানিয়েছি তাদের সরকার যেন এদিকে নজর দেয়।’
পরিদর্শনকালে সচিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ‘বিআরটি-এর চলমান কাজে পদে পদে ভুল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন।
‘তিনি চেয়েছিলেন গাজীপুরবাসীর সুবিধা; কিন্তু এখন গাজীপুরের মানুষ কষ্টে আছে। ইঞ্জিনিয়ার ও ডিজাইনারদের ভুলের খেসারত দিচ্ছে উত্তরবঙ্গে যাতায়াতকারী লাখ লাখ মানুষ।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ, ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (এসি-টঙ্গী) পিযুষ দে উপস্থিত ছিলেন।