বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পচন ধরা মরদেহটি কার

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২১ ১৫:০৩

‘অপরাধীরা কয়েক দিন আগে হত্যার পর লাশ ওখানে ফেলে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরনে অন্তর্বাস ছাড়া কিছুই ছিল না। আঙুল পচে যাওয়ায় আমরা মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্টও সংগ্রহ করতে পারিনি।’

বস্তায় ভরা মরদেহ। নাম জানা নেই। ধরেছে পচন। এর পরে প্রায় দুই সপ্তাহেও জানা গেল না পরিচয়।

আঙুলের ছাপ নেয়ারও সুযোগ নেই। কারণ পচে নষ্ট হয়ে গেছে সবকিছু।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মরদেহটির মুখমণ্ডল, দুই পা, শরীরসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পচন ধরে পোকা জন্মেছে। তাই তার পরিচয় জানতে পারিনি। এখন নখ, চুল ও দাঁত ডিএনএ টেস্টের জন্য আমরা ফরেনসিকে পাঠিয়েছি।’

গত ৭ জুন সকালে আশুলিয়ার এনায়েতপুর এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের পরিত্যক্ত বাউন্ডারির ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

এ ঘটনায় ৮ জুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়।

এতে বলা হয়, মরদেহের উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর। গায়ের রং শ্যামলা। গায়ের গড়ন মোটামুটি। মাথার পেছনে সামান্য কালো চুল আছে।

কপাল, কান, মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর পচে গেছে। চোখ দুটি অর্ধগলিত বন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। পচার কারণে মুখের কেবল চোয়াল দেখা যায়। পা দুটিও পচে গেছে। পুরো শরীরে পোকা ধরেছে।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘অপরাধীরা কয়েক দিন আগে হত্যার পর লাশ ওখানে ফেলে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরনে অন্তর্বাস ছাড়া কিছুই ছিল না। আঙুল পচে যাওয়ায় আমরা মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্টও সংগ্রহ করতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো অপরাধীদের শনাক্তে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে ওই এলাকার বেশ কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আশা করি, খুব শিগগির এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর