বগুড়ার কাহালু উপজেলায় চোর সন্দেহে যুবকের পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতনের মামলায় আছিয়া বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে তাকে কাহালু আমলি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার অঘোর মালঞ্চা গ্রাম থেকে তাকে ধরা হয় বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমবার হোসেন।
বৃহস্পতিবার পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার আতাউর রহমান শিরুর বাবা মজনু সোনা।
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রাম পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্বজন ও স্থানীয়রা শিরুর অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
মামলায় বলা হয়, বুধবার গভীর রাতে শিরুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন একই গ্রামের সেলিনা, আছিয়া, সুমনসহ তার পরিবারের পাঁচ থেকে পাঁচজন নারী-পুরুষ। পরে তাকে সেলিনাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাকে গ্যাস সিলিন্ডার চুরির অভিযোগে প্রথমে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। পরে আঙুলে সুঁচ ফোটানো হয় ও বাম পায়ে হাতুড়ি দিয়ে লোহার পেরেক ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
তাকে হাতুড়ি দিয়েও আঘাত করা হয়।
শিরুর বাবা বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে শিরু চুরি করেনি। একথা বারবার বলার পরেও তারা মানতে চাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে শিরুকে মারধর করতে করতে তুলে নিয়ে যায় তারা।‘
ওসি মো. আমবার হোসেন বলেন, মামলার আসামি অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।