ঢাকার সাভারে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়ে কেয়ারটেকার কফিল উদ্দিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন একই বাড়ির ভাড়াটে রিতা বেগম।
শুক্রবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিকেলে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মনিরুজ্জামান শিকদার আসামির জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুক্রবার ভোরে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকা থেকে রিতাকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
রিতার বাড়ি নওগাঁ সদরের চকরামচন্দ্র মহল্লায়। নিহত কফিল উদ্দিন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পাথরশি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু সড়কের চিকিৎসক শাফকাত হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার বা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এসআই সুদীপ কুমার গোপ জানান, গত ২২ মার্চ কফিল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন না থাকায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর থেকে ভাড়াটে রিতা বেগম পলাতক ছিলেন। তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখে পুলিশ।
তিন মাস পর আটকের পর রিতা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরে কফিলের স্ত্রী হানুফা বেগম আশুলিয়া থানায় মামলা করলে রিতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
আসামির স্বীকারোক্তির বিষয়ে এসআই সুদীপ বলেন, ‘মূলত কেয়ারটেকার কফিল উদ্দিনের মাধ্যমেই ওই বাড়িতে ওঠেন রিতা বেগম। এই সুবাদে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক হয়। মাঝেমধ্যে কফিলের রান্নার কাজেও সাহায্য করতেন রিতা।
‘ঘটনার দিন রাতে রিতা মাছ কেটে ঘরে দিতে গেলে কফিল তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ধর্ষণচেষ্টা করেন কফিল। এ সময় রিতা তার গলা চেপে ধরলে কফিল মেঝেতে পড়ে মারা যান।’
কফিল আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন।
এসআই সুদীপ জানান, ঘটনা আড়াল করতে কফিলের হাতে ইনহেলার দিয়ে সকালেই বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান রিতা।