পাবনার সাঁথিয়ার ঘুঘুদহ বিলের সরকারি অভয়াশ্রমের মা-মাছ রক্ষা করা যাচ্ছে না। দিনে-রাতে প্রকাশ্যে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে অভয়াশ্রমটি রক্ষায় নিয়োজিত সমিতির বিরুদ্ধে।
ঘুঘুদহ বিলে মাছের অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর মৎস্যজীবী সমিতিকে। তাদের বিরুদ্ধেই উঠেছে লুটপাটের অভিযোগ।
ঘুঘুদহ বিলপারের রঘুরামপুর গ্রামবাসী জানান, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে অভয়াশ্রমের মুখ কেটে জাল দিয়ে ডিমওয়ালা মা-মাছ ধরে নিয়ে গেছে সমিতির সভাপতি ফরিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র।
বৃহস্পতিবার রাতে তারা প্রচুর মাছ ধরে কাশিনাথপুর ও বেড়া বাজারে লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করেছে।রঘুরামপুর গ্রামের ভ্যানচালক আজিজুল সরদার বলেন, ‘মাছসহ ফরিদ, সোবাহান ও শাহাদকে আমি কাশিনাথপুর নিয়ে যাই।’
এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিবছরই ফরিদের নেতৃত্বে অভয়াশ্রম থেকে চুরি করে মাছ ধরা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে ব্যবস্থা নিলে সরকারি প্রকল্পের মাছ এভাবে চুরি হতো না।এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাকিবুল বলেন, ‘রাতে মাছ ধরতে লোকজন গিয়েছিল, পরে গৌড়ীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় তা বন্ধ করা হয়। তবে সকালে অভয়শ্রম পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, রঘুরামপুরের আহেদ আলীর ছেলে আলতাব মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ পেতে মা-মাছ ধরছেন।’
তিনি জানান, রাত ১২টা পর্যন্ত গৌড়ীগ্রামের লোকজন সেখানে মাছ ধরেছেন।রঘুরামপুর গ্রামের লালু বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে গিয়ে দেখি রঘুরামপুর মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা জাল দিয়ে অভয়শ্রম থেকে মাছ ধরছেন।’
এ বিষয়ে জানতে রঘুরামপুর মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ফরিদ হোসেনের সঙ্গে যােগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
তার সহযোগী সোবাহান জানান, অল্প কিছু মাছ তারা ধরেছেন। অন্যরা বাধা দিলে তারা চলে যান।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল উদ্দিন বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।