করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সীমান্ত জেলা যশোরে রেকর্ড রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ২৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন ভারতফেরত। এ সময় মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
এর আগে বুধবার সর্বোচ্চ ২১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। বৃহস্পতিবার কিছুটা কমে শনাক্ত হয় ১৯৬ জন। এক দিন পরই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হলো ৩০০ ছুঁইছুঁই।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ।
এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। তাদের মধ্যে দুজন করোনা রোগী এবং অপর দুজন করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০৮ জন।
এদিকে উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে স্থানীয় লকডাউন চলছে। তবে স্থানীয়দের ঠিকমতো লকডাউনের বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি। লকডাউনের মধ্যেও সাধারণ মানুষ যত্রতত্র ঘোরাফেরা করছেন। মাস্ক পরাসহ অন্যান্য বিধিনিষেধও মানছেন না অনেকে।
লকডাউন কার্যকরে আরও কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, লকডাউনের বিধিনিষেধ ঠিকমতো না মানায় করোনা সংক্রমণ কমছে না। তবে এ ক্ষেত্রে শুধু প্রশাসন কঠিন হলেই হবে না, জনগণকেও সচেতন হতে হবে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও একটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সদর হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেলে এখানে স্থানান্তর করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউন কার্যকরে সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজন হলে আরও কঠোরতা আরোপ করা হবে।’