ময়মনসিংহে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
বিস্ফোরক আইন এবং পুলিশের কাজে বাধা ও হামলা মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে।
শুক্রবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দাবি করেন, জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার চরকালীবাড়ি এলাকায় ছাত্রদল আয়োজিত আলোচনা সভায় বিনা উসকানিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে পুলিশ।
পুলিশের হামলায় ছাত্রদলের ১৭ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া ১০ নেতা-কর্মীকে আটক ও ২৮টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
এ সময় তিনি হামলা ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ চরকালীবাড়ি দাখিল মাদ্রাসা মাঠে কোভিড নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে সমাবেশ করছিল ছাত্রদল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিনা উসকানিতে নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। এতে পুলিশের ১০ সদস্য আহত হন।