করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপহার হিসেবে দেয়া চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের ১২ হাজার টিকা শেরপুরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ শুক্রবার দুপুরে টিকা পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিভিল সার্জন আনওয়ারুর রউফ বলেন, ‘সিনোফার্মের ১২ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ হিসেবে ৬ হাজার মানুষ টিকা দিতে পারবেন। বাকি ৬ হাজার টিকা প্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে গ্রহণ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘১৯ জুন শনিবার থেকে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র থেকে চীনের সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে। এই কেন্দ্র থেকে আগে টিকা নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু টিকা নিতে পারেননি এমন ব্যক্তিদের এবার অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
‘এ ছাড়া সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্য, বিদেশগামী বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী, সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি ম্যাটস ও সরকারি আইএইচটির শিক্ষার্থী ও কোভিড-১৯ মৃতদেহ সৎকারকাজে নিয়োজিত কর্মীরাও অগ্রাধিকার পাবেন।’
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ইতোপূর্বে শেরপুর জেলা হাসপাতালে টিকা গ্রহণের জন্য ২০ হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এর মধ্যে ৫ হাজার মানুষ টিকা নিতে পারেননি। এদিকে জেলায় ইতোপূর্বে ১২ হাজার মানুষ প্রথম ডোজের টিকা নিলেও তারা দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাননি।
এখন অন্য কোম্পানির টিকা নিতে গেলে তাদের নতুন করে অন্য কোম্পানির প্রথম ডোজের টিকা নিয়ে পরে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে। তবে এবারের টিকা তাদের দেয়া হবে না বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন।
টিকা হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদুল হাসান ডিআইও(১), ডিএসবি মো. আবুল বাশার মিয়া, জেলা তত্ত্বাবধায়ক (ড্রাগ) সাখাওয়াত হোসেন রাজু আকন্দসহ অন্য কর্মকর্তারা।
জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২ জনের। তাদের মধ্যে শেরপুর সদরে ৫৯৩ জন, নকলায় ১৫৩, নালিতাবাড়ীতে ১২২, ঝিনাইগাতীতে ৫৮ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৭৬ জন আছেন। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৫২ জন। মারা গেছেন ১৯ জন।
চলতি মাসে জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ১৭ জুন পর্যন্ত জেলায় ২৪৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়। তাদের সিংহভাগই শেরপুর পৌর এলাকার।