চকরিয়ার এক কলেজছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছেন নাঈম উদ্দিন নামের যুবক। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে পুলিশ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে নাঈমকে।
চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়াছড়া এলাকা থেকে নাঈম নামের যুবককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার নাঈম উদ্দিন বান্দরবানের লামা থানার কেদারবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, চকরিয়ায় একটি কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রীর সঙ্গে তিন বছর আগে নাঈম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে কলেজছাত্রীর কাছে তার একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও চায় নাঈম। প্রথমে রাজি না হলেও পরে ভিডিও কলে নাঈমের সামনে আসেন কলেজছাত্রী।
সেই সুযোগে ছাত্রীর আপত্তিকর কিছু ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন নাঈম। এরপর গত ৬ জুন রাতে নাঈম বান্দরবন থেকে চকরিয়া আসেন। কৌশলে কলেজছাত্রীর ঘরে ঢুকে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করেন। এসময় ছাত্রীর কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন নাঈম।
পরের দিন সকাল হওয়ার আগেই নাঈম ছাত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে চলে যান। এরপর কলেজছাত্রী ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নাঈম ফোন রিসিভ করেননি।
নাঈম পরে একবার ফোন রিসিভ করলেও ছাত্রীকে মোবাইলে কল দিতে নিষেধ করেন। অন্যথায় তাদের একান্তমূহুর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন তিনি।
সম্প্রতি সেসব আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও একটি ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট থেকে ভাইরাল হলে কলেজছাত্রীর মা চকরিয়া থানায় মামলা করেন।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের জানান, মামলার পর অভিযুক্ত আসামিকে বৃহস্পতিবার চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়াছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় আসামির কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। যার মধ্যে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও রয়েছে।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় কলেজছাত্রীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে নাঈমকে কারাগারে পাঠানো হবে।