বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে ব্ল্যাকমেইল, গ্রেপ্তার ৩

  •    
  • ১৮ জুন, ২০২১ ০১:০৭

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মকর্তাকে বাড়িতে নেয়ার পর রিনাসহ অন্যদের ব্যবহার পরিবর্তন হয়ে যায়। তাকে তারা বলেন, যত সহজে আসছিস, তত সহজে যেতে পারবি না। ওই সময় কর্মকর্তা বাড়ি যেতে চাইলে তার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কর্মকর্তা টাকা দিতে রাজি হননি। এতে তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তার হাত-পা বেঁধে তাকে মারধর করতে থাকেন অভিযুক্তরা। এ সময় কর্মকর্তার পকেটে থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তারা। পরে কর্মকর্তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ছবি তোলা হয়।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপলোয় এক নারীসহ ফেসবুকে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া নারী ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে বাড়িতে ডেকে এনে ব্ল্যাকমেইল করে করে অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা করেন একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) একজন কর্মকর্তা। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভদ্রদিঘী গ্রামের রিনা বেগম, কহুলী গ্রামের লিটন হোসেন ও একই গ্রামের গোলাম রাব্বি।

মামলার আরেক আসামি বুলু পলাতক রয়েছেন। তিনি উপজেলার কহুলী গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী ওই এনজ্ওি কর্মকর্তা চাকরির সুবাদে সিলেটে বসবাস করেন। তার স্ত্রীসহ পুরো পরিবার নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায় বসবাস করেন। ফেসবুকে বগুড়া নন্দীগ্রাম উপজেলার রিনা বেগমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গত মঙ্গলবার ওই কর্মকর্তা গ্রামের বাড়ি নাটোরের উদ্দেশ্যে সিলেট থেকে রওনা দেন। বিষয়টি জানতেন রিনা বেগম। ফলে তার সঙ্গে দেখা করতে তাকে অনুরোধ করেন রিনা। একপর্যায়ে কর্মকর্তাও রিনার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয়ে যান। মঙ্গলবার রাতে সিলেট থেকে রওনা দেন কর্মকর্তা।

বুধবার সকালে তিনি বগুড়া নন্দীগ্রাম উপজেলায় রিনার বাড়ির সামনে পৌঁছান। সেখানে তার রিনার সঙ্গে দেখা হয়। রিনা তাকে বাড়িতে আসতে বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্তু কর্মকর্তা রাজি হচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে রিনা বলেন তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। রিনার স্বামী বাড়িতে নেই শুনে ওই কর্মকর্তা বাড়িতে আর প্রবেশ করতেই চাননি। ওই সময় রিনাসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা অপ্যায়ন করার কথা বলে তাকে জোর করেই বাড়ির ভিতরে নিয়ে আসেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মকর্তাকে বাড়িতে নেয়ার পর রিনাসহ অন্যদের ব্যবহার পরিবর্তন হয়ে যায়। তাকে তারা বলেন, যত সহজে আসছিস, তত সহজে যেতে পারবি না। ওই সময় কর্মকর্তা বাড়ি যেতে চাইলে তার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কর্মকর্তা টাকা দিতে রাজি হননি। এতে তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তার হাত-পা বেঁধে তাকে মারধর করতে থাকেন অভিযুক্তরা। এ সময় কর্মকর্তার পকেটে থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তারা। পরে কর্মকর্তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ছবি তোলা হয়।

তাদের মারধরের শিকার হয়ে কর্মকর্তা তার এক সহকর্মীকে বলে তাদেরকে বিকাশের মাধ্যমে ১৫ হাজার ২০০ টাকা দেন। পরে অভিযুক্তরা আরও ৮৫ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তারা মোত্তালিবের মোবাইলে থাকা একটি মেমোরি কার্ড, মানিব্যাগে থাকা একটি সাউথ-ইষ্ট ব্যাংক ও একটি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড কেড়ে নেন। সবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় দুইটি ফাঁকা নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে কর্মকর্তা ছেড়ে দেওয়া হয়।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর