রাঙ্গামাটির কাপ্তাই সড়কের আসামবস্তি, বড়াদাম, মোরঘোনার আঁকাবাঁকা সড়কে অপরিকল্পিতভাবে বসানো হয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। এসব খুঁটি এখন বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসামবিস্ত সড়কের মিতিঙ্গাছড়ি পাড়ায় চার মাস ধরে হেলে পড়ে আছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। খুঁটির গোড়ায় মাটি সরে যাওয়ায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।
তবে খুঁটি সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে বার বার জানানোর পরও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন মিতিঙ্গাছড়ি পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা সুনীল কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় বিদ্যুৎবিভাগের লোকজন প্রায়ই আসত। হেলে পড়া খুঁটি সরানোর জন্য বললে টাকা খরচের বিষয় আছে বলে অজুহাত দেখাত।’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাঙামাটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক সবুজ কান্তি মজুমদার। নিউজবাংলার প্রতিবেদককে প্রতিবেদন না লেখারও অনুরোধ জানান তিনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাঙ্গামাটি থেকে কাপ্তাই যাওয়ার আঁকাবাঁকা রাস্তায় অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি। অপরিকল্পিতভাবে খুঁটি বসানোর কারণে যান চলাচলে বেড়েছে ঝুঁকি।
স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সিএনজি, মোটরবাইকচালকরা বলেছেন, এই খুঁটির গোড়ায় মাটি সরে যাওয়ায় হেলে পড়েছে খুঁটি। এটি এখন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে দেখা যায়, বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লতাপাতা, গাছপালা, আগাছায় ভরে গেছে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
রাঙ্গমাটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, ‘খুঁটি সরানোর জন্য অনেক আগে থেকে অফিস থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুনেছি খুঁটি সরানোর কাজে নিয়োজিত দলনেতা অসুস্থ। শিগগিরই খুঁটি সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, ‘ এলাকাবাসীকে টাকা খরচ হবে এমন অজুহাত দেখিয়েছে তা কখনো হতে পারে না। কেউ যদি বলেই থাকে, তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’