বগুড়ার কাহালু উপজেলায় চোর সন্দেহে এক যুবকের পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতনের শিকার যুবকের নাম আতাউর রহমান শিরু। তিনি কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক জাকিয়া তাসনিম বলেন, ‘শিরুর পায়ে পেরেকজাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। হাতে সুচজাতীয় কিছু দিয়ে ক্ষত করা হয়েছে। তবে হাত ও পায়ের আঘাত গভীর নয়।’
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ শিরুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর আগে বুধবার গভীর রাতে তাকে মালঞ্চা গ্রামের বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়।
শিরুর বাবার নাম মজনু মিয়া। তিনি নির্যাতনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে শিরুকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন একই গ্রামের সেলিনা, আছিয়া, সুমনসহ তার পরিবারের পাঁচ থেকে ছয়জন নারী-পুরুষ। পরে তাকে সেলিনাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে গ্যাস সিলিন্ডার চুরির অভিযোগে প্রথমে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। পরে শিরুর আঙুলে সুচ ফোটানো হয় ও বাম পায়ে হাতুড়ি দিয়ে লোহার পেরেক ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া তাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়।
পুলিশ বলছে, চুরির অভিযোগে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। পুলিশের কাছে তথ্য না থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এই প্রতিবেদন লেখার সময় নির্যাতনে অভিযুক্ত সেলিনা আক্তারসহ অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন বলেন, চোর সন্দেহে শিরুকে মারধর করা হয়েছে। তার শরীরে গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। পায়ের পাতায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে সেটা পেরেক বা সুচজাতীয় কোনো কিছু দিয়ে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।