বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের মেরামতের কাজ জোরেশোরে চলছে। খুব দ্রুত এই মেরামতের কাজ শেষ হবে। তখন সকল ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে।
সচিব আরও বলেন, আখাউড়া -আগরতলা রেলপথ নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। ভারতে লকডাউনের জন্য সেখান থেকে স্লিপার আনতে সময় লাগছে। তবে আখাউড়া-লাকসাম ডবল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের মধ্যেই শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে মঙ্গলবার থেকে ঢাকা মেইল, চট্টগ্রাম মেইল, সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করছে। বুধবার থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করছে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস।
গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে হেফাজতের বিক্ষোভ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে প্যানেল বোর্ডসহ সংকেতব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় স্টেশনটিতে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রেলসচিব মো. সেলিম রেজা মহানগর ট্রেনযোগে আখাউড়ায় আসেন। এ সময় তিনি আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
এ সময় রেলসচিব বলেন, ‘রেল একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমাদের সরকারি যে বিধিবিধান আছে সেই বিধি অনুযায়ী চলতে হয়। আমাদের স্বাস্থ্যের দিকটি আগে ভাবতে হবে। এই করোনাকালীন সময়ে সারা বিশ্বে যে অবস্থা হয়েছে। ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটা সিট ফাঁকা রেখে আরেকটা সিটে বসে যাত্রীরা যাচ্ছেন। কেউ যদি নিয়ম না মানে তাহলে রেলের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে দায়িত্বরতদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্য যেকোনো মাধ্যমের চেয়ে রেল অনেক ভালো নিয়ম-কানুন মেনে চলছে। আমি চলন্ত ট্রেনে বিভিন্ন বগিতে গিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের কোনো অভিযোগ নেই। তারা আরামদায়কভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করছে। প্রধানমন্ত্রী রেলকে একটি আরামদায়ক ও নিরাপদ মাধ্যম হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পূর্বাঞ্চল রেলপথের জি.এম মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডি. আর. এম মো. সাদেকুর রহমান, ডি. টি.ও মো. খায়রুল কবির, ডি.সি.ও মো. সৈকত জামিল, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী সুভক্ত গিল, উপজেলা সহকারী কমিশানার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম, রেলওয়ে স্টেশন সুপার মো. কামরুল হাসানসহ অনেকে।