বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ননদের বাড়িতে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ: কারাগারে ৩

  •    
  • ১৭ জুন, ২০২১ ২০:১৮

গত রোববার ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে স্বামীর বড় বোনের (ননদ) বাড়ির রান্নাঘরের আড়া থেকে ২৮ বছর বয়সী দীপা চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দীপার বোন। 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গৃহবধূ দীপা চৌধুরী মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ওই তিনজনকে উপস্থিত করা হলে বিচারক মোহাম্মদ সালেহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নিউজবাংলাকে বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শমশেরনগর পুলিশ ফাড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম।

গত রোববার ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে স্বামীর বড় বোনের (ননদ) বাড়ির রান্নাঘরের আড়া থেকে ২৮ বছর বয়সী দীপা চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দীপার বোন।

এসআই শাহ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার মৌলভীবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে দীপার স্বামী সাইফুল ইসলামসহ ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন দীপার বোন মৌমিতা। ওই মামলায় বুধবার রাতে এজাহারভুক্ত আসামি শেফী বেগম, মিজান মিয়া ও বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

দীপার ভাই সুমন চৌধুরী বলেন, ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

তিনি বলেন, ‘সাইফুলের সঙ্গে দীপার বিয়ে হয় কোর্টে। কিছুদিন পর শুরু হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব। সাইফুল পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। সাইফুলের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে।

‘নিজ বাড়িতে সমস্যা হওয়ায় কয়েক দিন ধরে সাইফুল দীপাকে নিয়ে তার বড় বোনের বাড়িতে থাকছিলেন। সেখানেও তারা দীপার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।’

সুমন চৌধুরী আরও বলেন, ‘ আমরা হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পুলিশ মামলা না নিলে আমরা আদালতে মামলা করি। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামি সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেনি।’

এসআই শাহ আলম জানান, দীপা মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি একই উপজেলার পতনউষা গ্রামের আব্দুল মতিন চৌধুরীর মেয়ে। দীপার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল, সেই সংসারে অপু নামের ১৪ বছরের একটি ছেলে আছে। দীপা চৌধুরী বেশ কিছুদিন লন্ডনে ছিলেন। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সাইফুলের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।

তিনি জানান, শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুক আলী পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে তারা মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। প্রতিবেদন এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই প্রতিবেদন থেকেই দীপার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর