করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সীমান্তবর্তী যশোরের শার্শা উপজেলা সদর ও বেনাপোল পৌরসভায় সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।
ইউএনও মীর আলিফ জানান, উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেনাপোল পৌর সভা ও শার্শা সদর ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় কাঁচাবাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও মুদি দোকান সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সকল প্রকার গণজমায়েত, সভা-সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওষুধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের বহনকারী গাড়ি লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের জন্য বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু রয়েছে। তবে ভারতে যেহেতু করোনার প্রাদুর্ভাব বেশি, সে কারণে যেকোনো সময় চালকদের মাধ্যমে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে প্রবেশ করতে পারে। এ জন্য দেশের সব সীমান্তবর্তী শহরে লকডাউন দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বেনাপোল ও শার্শায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া অন্য দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। মানুষের ভিড় কমাতে মাছবাজার ও কাঁচাবাজার অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাঠে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ পুলিশ, আনসার ও বিজিবি।’
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউছুফ আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের করোনা শনাক্ত চিহ্নিত করা গেছে। তাদের মধ্যে নয়জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে দেয়া হয়েছে ও তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।