বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেলে হত্যায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ জুন, ২০২১ ১৬:৫৫

শহিদের মা ছকিনা বেগমের দাবি, তার ছেলে চুরি করেননি। তাকে পরিকল্পিতভাবে চুরির অপরাধ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ান। তবে ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান জানান, শহিদ এলাকার চিহ্নিত চোর। আবদুল হক লাড়ির ঘরে চুরির করার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করে পিটুনি দেন স্থানীয়রা।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

নিহত আবদুস শহিদের স্ত্রী কুলছুম বেগম বুধবার রাতে সদর থানায় মামলা করেন।

চররমণী মোহন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ানসহ ১৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ জনের বিরুদ্ধে তিনি হত্যা মামলা করেন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আবদুস শহিদের বাড়ি সদর উপজেলার পশ্চিম চররমণী এলাকায়। ওই এলাকাতেই তার শ্বশুরবাড়ি। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন।

এলাকার খালপাড়ে পৌঁছালে আবদুল হক লাড়ির ঘরে চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন তাকে পিটুনি দেন। এরপর মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

তিনি রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন। তারপর তাকে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার বিকেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

শহিদের মা ছকিনা বেগমের দাবি, তার ছেলে চুরি করেননি। তাকে পরিকল্পিতভাবে চুরির অপরাধ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ান। তিনি এই হত্যার বিচার দাবি করেন।

এদিকে ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান জানান, শহিদ এলাকার চিহ্নিত চোর। আবদুল হক লাড়ির ঘরে চুরির করার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করে পিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এসপি এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যা, নাকি চুরির ঘটনায় গণপিটুনিতে মৃত্যু, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর