কিশোরগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এত কম সময়ে কোনো মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়ার এমন ঘটনা কিশোরগঞ্জে বিরল বলে জানালেন আদালতের কর্মকর্তারা।
ইটনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান হাবীব ওই মামলার তদন্ত করে ১৬ জুন বিকেলে অভিযোগপত্র জেলা বিচারিক হাকিম আদালতে জমা দেন।
ওই আদালতের বিচারক জিন্নাত আরা আক্তার ১৫ জুন দুপুরে ধর্ষণচেষ্টার মামলার একমাত্র আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেন।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যেদিন মামলা করা হয়েছে সেদিন রাতেই বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। এ জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা কোনো মামলার অভিযোগপত্র এত কম সময়ে দাখিল করা হয়নি।’
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি দীর্ঘদিন ধরে এক গৃহবধূকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ১১ জুন রাত দেড়টার দিকে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে কৌশলে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। তবে তার আগেই ওই ব্যক্তির চেহারা দেখে তাকে শনাক্ত করে ফেলে সবাই। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিজের মোবাইল ফোনও গৃহবধূর বাড়িতে তিনি ফেলে রেখে যান।
পরে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ১৪ জুন বিকেলে ওই ব্যক্তির নামে ইটনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন ওই নারী।
রাতেই অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।