বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা দম্পতিকে ভোটার, সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ২৩:২৫

দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এ বুধবার বিকেলে মামলাটি করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত।

রোহিঙ্গা দম্পতিকে ভোটার করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের তিন কর্মচারীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এ বুধবার বিকেলে মামলাটি করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত।

আসামিরা হলেন, ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক নুর আহমদ, কক্সবাজার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীন, টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওবায়দুল্লাহ, ঈদগাঁও পূর্ব গোমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, কক্সাবাজার সদরের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকার ফয়জুল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন।

রোহিঙ্গা দম্পতিকে ভোটার করার অভিযোগটি অনুসন্ধান করেন দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘ফয়জুল্লাহ স্বীকৃত রোহিঙ্গা হলেও ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করান। তিনি মূলত অবৈধভাবে ভুয়া নিবন্ধন ফরমের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তহন। একইভাবে ফয়জুল্লাহর স্ত্রী মাহমুদাও কক্সবাজার নির্বাচন অফিসের তালিকায় ভুয়া ভোটার হন।'

কিন্তু দুদকের তদন্তে দেখা যায়, কক্সবাজার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীন ভুয়া ফরমে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তাদের নিবন্ধন ফরম আপলোড করেন। এ দুই জনের যাবতীয় ফরম পূরণ ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দেন চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন।

আর কক্সবাজার নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীন থেকে সব ডাটা সংগ্রহ করেন জয়নালের বোনজামাই চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক অফিস সহায়ক নুর আহমেদ। রোহিঙ্গা ফয়জুল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুনকে কক্সবাজারে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাঈম উদ্দীনের কাছে নিয়ে আসেন দালাল ওবায়দুল্লাহ ও ঈদগাঁও পূর্ব গোমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান।

শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ জন্য অনুসন্ধান শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করা হয়েছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর