বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা রিমান্ডে

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ২২:৫৪

শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর দক্ষিণ খুলশী এলাকা থেকে সিরিয়াফেরত জঙ্গি ও নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সাখাওয়াত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শামীমুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন।

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা মোহাম্মদ শামীমুর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালত বুধবার বিকেলে এ আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এসআই রাছিব খান বলেন, ‘শামীমুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড অনুমোদন করে।

মোহাম্মদ শামীমুর রহমান নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও ফিরোজ শাহ কলোনি বড় মাদ্রাসার শিক্ষক এবং হেফাজত ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাবেক সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর দক্ষিণ খুলশী এলাকা থেকে সিরিয়াফেরত জঙ্গি ও নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সাখাওয়াত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শামীমুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেন, সাখাওয়াতকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা শামীমকে গ্রেপ্তার করেছি। আনসার আল ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন শামীম। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাতে নগরের দক্ষিণ খুলশী এলাকা থেকে সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক শাখার কর্মী।

গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট উপপরিদর্শক (এসআই) রাছিব খান বাদী হয়ে খুলশী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালে ভায়রাভাই মো.আরিফ মামুনের মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পরেন সাখাওয়াত। সংগঠনের নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ অন্যদের মাধ্যমে জিহাদী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালে সাখাওয়াত তুরস্কে যান। সেখান থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে সিরিয়ায় পৌঁছান। সেখানে জঙ্গি নেতা হায়াত তাহরির আশরাকের কাছ থেকে ভারী অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। পরে সিরিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়ায় আসেন। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা হয়ে আবার ইন্দোনেশিয়ায় যান। গত মার্চে দেশে ফেরেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর