নাটোরে দুটি পৌর এলাকায় চলছে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন।
আগামী সাত দিনের এই লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার সকাল ৬টা থেকেই প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। অপ্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে বের না হতে এবং মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চালানো হচ্ছে প্রচার।
এর আগে, সপ্তাহব্যাপী নাটোরের সিংড়া ও নাটোর পৌরসভা এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ দিলেও করোনা সংক্রমণ ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি। তাই দ্বিতীয় দফায় আরও সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
জেলার সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে নাটোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৯টি শয্যা বাড়িয়ে ৫০টি করা হলেও রোগীর চাপ সামলানো যাচ্ছে না। বুধবার সকাল পর্যন্ত ৫২ জন রোগী ভর্তি আছেন করোনা ইউনিটে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ কমছে না।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের অভিযানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। আর তা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। প্রতিদিনই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আজকে করোনা শনাক্ত ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোনো ফলাফল জেলা সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়নি। মঙ্গলবার নাটোর পৌর এলাকায় আক্রান্তের হার ছিল ৬৫ শতাংশ। সিংড়ায় এই হার ছিল ৪৬ শতাংশ।’
সিভিল সার্জন জানান, মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই হিসাবে শনাক্তের হার ৪১ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জন মারা গেছেন। ১৫ জুন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫ জন।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, কঠোর লকডাউন মানার জন্য শহরের সবগুলো প্রবেশপথে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ শহরে প্রবেশ করতে এবং শহর থেকে কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না।
নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মনিটরিং করছেন। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে আইনের আওতায় নেয়া হচ্ছে। প্রথম দফার লকডাউন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, এবারের লকডাউনও সফল হবে।