গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কলেজছাত্র তারেক হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত তারেক হাসান গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের দুর্গাপুর মহল্লার সবুজ হাসানের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি কলেজে আইটি প্রোগ্রামিং বিষয়ে লেখাপড়া করতেন।
গ্রেপ্তার ফারুক মিয়াও ওই গ্রামের বাসিন্দা।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারেকের পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে প্রতিবেশী ফারুক, ছামছুল ও জলিলের বিরোধ চলছিল। ৫ জুন দুপুরে মিস্ত্রির সঙ্গে নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন তারেক।
এ সময় ফারুক ও তার লোকজন বাড়িতে ঢুকে নির্মাণকাজে বাধা দেয়। এতে তারেক প্রতিবাদ করলে সবাই মিলে বেড়ধক মারপিট শুরু করে তাকে। একপর্যায়ে ফারুক ছুরি দিয়ে তারেকের বুকে একাধিকবার আঘাত করেন।
পরিবারের লোকজন তারেককে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে পরদিন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ১১ জুন মৃত্যু হয় তার। ওই দিনই তারেকের বাবা হত্যা মামলা করেন।
ওসি মেহেদী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মূল কিলার ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।’