বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিপণ পেয়ে ব্যবসায়ীকে ফেলে গেল অপহরণকারীরা

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২১ ২৩:২৬

শাহাদাতের স্ত্রী ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, ‘গাড়িতে তুলে শাহাদাতের চোখমুখ বেঁধে ফেলে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে একদল লোক একজন ব্যবসায়ীকে বাসা থেকে তুলে নেন। পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে আহত অবস্থায় তাকে ছেড়ে দেন।

বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

গৌরনদী থানায় মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন অপহৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী ফাতেমা ইয়াসমিন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সিংগা গ্রামের চন্দ্রহার বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন সোমবার রাতে বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। রাত দেড়টার দিকে দরজায় কড়া নাড়ে কিছু লোক। এক পর্যায়ে শুরু করে ধাক্কাধাক্কি। তারা নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলেন।

ডিবি পরিচয় পাওয়ার পর দরজা খুলে দিলে পাঁচজন ঘরের মধ্যে ঢুকে শাহাদাত হোসেনকে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা শাহাদাতকে হাতকড়া পরিয়ে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। রাত সোয়া ২টার দিকে শাহাদাতের স্ত্রী চন্দ্রহার বাজারে গিয়ে বাজারের দোকানদারদের ঘুম ভাঙিয়ে ঘটনা জানান।

পরে রাত আনুমানিক পৌনে তিনটার দিকে একটি নম্বর থেকে শাহাদাত হোসেনের বাসায় ফেলে রাখা মোবাইল নম্বরে একটি কল আসে। দাবি করা হয় পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বলা হয় রাতের মধ্যে টাকা নিয়ে চন্দ্রহার বাজারের সেতুর কাছে থাকতে। টাকা না দিলে শাহাদাতকে হত্যা করা হবে।

অপহরণকারীদের তখন শাহাদাতের স্ত্রী বলেন, এত টাকা বাসায় নেই। বাসায় যত টাকা আছে তা নিয়েই সেতুর কাছে অপেক্ষা করবেন। তখন ফোনটি কেটে দেয় অপহরণকারীরা।

এই অবস্থায় শাহাদাতের স্ত্রী ও তার ভাই ঘরে থাকা ২৫ হাজার টাকাসহ একটি সোনার চেইন নিয়ে সেতুর কাছে অপেক্ষা করেন। ভোর ছয়টার দিকে গাড়িটি ওই স্থানে আসে। টাকা ও সোনার চেইন নিয়ে গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয় শাহাদাতকে। এ সময় বাজারের অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন।

শাহাদাতের স্ত্রী ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, ‘গাড়িতে তুলে শাহাদাতের চোখমুখ বেঁধে ফেলে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।’

এ ঘটনায় থানার গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর পরিচয়ে ওই যুবককে তুলে নিয়েছে যারা তারা কেউ ওই বাহিনীর না।

এ বিভাগের আরো খবর