নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার থানারহাট বাজার এলাকায় নদীর সংযোগ খাল দখল করে ভবন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের মহোৎসব চলছে। অভিযোগ, সরকারি সম্পত্তি দখলে যোগ দিয়েছেন উপজেলার জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কাজী বাহাদুরও।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, থানারহাট বাজার থেকে পরানপুর যাওয়ার সেতুর পাশে খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন কাজী বাহাদুর। খালের পাশে পাকা-আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ২৫-৩০ লাখ টাকার সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করেছেন এই ইউপি সদস্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খালটিতে ২০-২৫ বছর আগেও নৌযান চলত। গত কয়েক বছর ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র খালটি ভরাট করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে।
বর্তমানে বাজারকেন্দ্রিক খালের ওপর স্থাপনা নির্মাণ করায় খালে প্রবাহ আগের মতো নেই। এতে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে শহর ও গ্রামের বাজারগুলোসহ পুরো এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা।
স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
তারা আরও জানান, কাজী বাহাদুর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই প্রভাব খাটিয়ে সেতুর পাশে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। এতে খালে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ এক নেতা বলেন, ‘এসব প্রভাবশালীর কারণে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সহযোগিতায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন কাজী বাহাদুর। খাল দখল বন্ধ না হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ এই অঞ্চলের পরিবেশ মারাত্মক আকার ধারণ করবে।’
খাল দখলের বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য কাজী বাহাদুরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।
সোনাইমুড়ী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) অংগ্যজাই মারমা বলেন, ‘সরকারি খালের মধ্যে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ অথবা মাটি ভরাট দণ্ডনীয় অপরাধ। ইউপি সদস্যের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’