নাটোর পৌরসভা এবং সিংড়া পৌরসভা এলাকায় চলমান কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং মৃত্যু বিবেচনা করে এই মেয়াদ আগামী ২২ জুন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে দুটি পৌর এলাকায় গত ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল জেলা প্রশাসন।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার রায় ও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখনো উর্ধ্বমুখী, জেলায় মৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে। চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার পর্যন্ত নির্ধারিত এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ২২ জুন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
লকডাউনে কর্মহীন মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিলে প্রশাসনিক সহায়তা দেয়া হবে। খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় সহযোগিতার জন্যে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্যেও অনুরোধ জানান তিনি।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, চলমান বিধিনিষেধে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চলাচল ছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকাতে জনসাধারণ ও অন্যান্য পণ্যের চলাচলে বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে। জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।
সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান, নাটোরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সদরসহ পৌর এলাকায় আক্রান্তের হার ৬৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। সিংড়ায় এই হার ৪৬ শতাংশ।
এ ছাড়া শহরতলিগুলোতেও সংক্রমণ বেড়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নাটোর জেলায় এ পর্যন্ত ৩৮ জন মারা গেছেন। যার মধ্যে চলতি মাসেই সর্বোচ্চ ১৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। সদর হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসায় করোনা ইউনিটে শয্যা ৩১ থেকে ৫০ এ উন্নীত করা হয়েছে। রোগীদের জন্যে নার্সসহ অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।