যশোর বেনাপোলের কাস্টমস হাউসের লকার থেকে প্রায় ১৯ কেজি সোনা চুরির মামলায় সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভোল্ট ইনচার্জসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি পুলিশ।
মামলার তদন্ত শেষে মঙ্গলবার আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দীর বাঁধুলী খালপাড়া গ্রামের শাহিবুল সরদার, খুলনা বটিয়াঘাটার জয়পুর গ্রামের বিশ্বনাথ কুন্ডু, বরিশাল আগৈলঝাড়ার শহিদুল ইসলাম মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার চারুয়া গ্রামের অলিউল্লাহ, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আর্শাদ হোসাইন, খুলনার তেরখাদার বারাসাত গ্রামের বেনাপোল কাস্টমসের বেসরকারি কর্মী আজিবার রহমান মল্লিক ও বেনাপোলের ভবেরবের পশ্চিমপাড়ার শাকিল শেখ।
তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের ৭ থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে যেকোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউসের পুরোনো ভবনের ২য় তলার গোডাউনের তালা ভেঙে চোরেরা ভল্টের তালা খুলে ১৯ কেজি ৩১৮ গ্রাম সোনা চুরি করে।
যার মূল্য প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা। এই ভল্টের চাবি তৎকালীন ভল্ট ইনচার্জ শাহিবুলের কাছে থাকত।
এ ছাড়া গোডাউনের অন্যান্য লকারে স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো অক্ষত ছিল।
ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা এমদাদুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ে ব্যক্তিদের আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় চুরির মামলা করেন।
একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ গোডাউনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভল্ট ইনচার্জ শাহিবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ, পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়।
সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, সর্বশেষ আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়। চার্জশিটে সকল আসামিকে আটক দেখানো হলেও জামিনে মুক্ত আছেন তিনজন।