রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট সোনালী ব্যাংকের শাখার পাশের একটি মাদ্রাসার কক্ষ থেকে ব্যাংক বরাবর সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ব্যাংকে ডাকাতির জন্য সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়েছিল। তবে, আগেভাগেই সেটি স্থানীয় লোকজনের নজরে আসায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি চক্রান্তকারীরা।
সুড়ঙ্গ আবিষ্কারের পর ওই ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সোমবার রাত আটটার দিকে ঘটনাস্থলে যায় মিঠাপুকুর থানার পুলিশ। তারা সরেজমিন তদন্ত করে এসেছে।
মিঠাপুকুর থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ওই ব্যাংকের অদূরে ফখরুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা আছে। সেই মাদ্রাসার একটি কক্ষে কে বাবা কারা একটি বড় গর্ত খুঁড়ে, যা কিনা সুড়ঙ্গ আকৃতির।
তিনি বলেন, যেখানে সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়েছে তার পাশে বড় পাকা রাস্তা আছে। সেই রাস্তার পরই একটি সেপটিক ট্যাংক, তারপরে ব্যাংকটি। করোনার কারণে মাদ্রাসাটি বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় ছেলেরা ওই মাদ্রাসার মাঠে ফুটবল খেলছিল। একপর্যায়ে ফুটবলটি সেখানে যায়। ওই ফুটবল আনতে যায় এক কিশোর। সে সুড়ঙ্গটি দেখতে পায়। পরে সে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়।
ওসি বলেন, ‘ওই কিশোরের বাবা সন্ধ্যায় বাজারে এসে ঘটনাটি বলেন। এরপর স্থানীয় লোকজন সেটি দেখতে যান। আমরা খবর পেয়ে সেখানে যাই এবং ব্যাংকের ম্যানেজার সামিউল ইসলামও ঘটনাস্থলে আসেন। আমরা সুড়ঙ্গটি দেখি। এটা খুঁড়ে ব্যাংক পর্যন্ত যেতে পারলে হয়তো একটা বড় ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটত।’
ব্যাংকটির ম্যানেজার সামিউল ইসলামের বরাত দিয়ে ওসি জাকির বলেন, সুড়ঙ্গ আবিষ্কারের পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
মাদ্রাসাটির সভাপতি এনামুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মাদ্রাসা দেড় বছর ধরে বন্ধ। মূল গেটও বন্ধ থাকে। কিন্তু মাদ্রাসার পূর্ব পাশে একটি রুম আছে সেখানে কাঠসহ কিছু জিনিস আছে। ওই রুমেই এই সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে। আমরা ধারণা করছি, যারা এটি করেছে তারা হয়তো ব্যাংক ডাকাতির উদ্দেশ্যে করেছে।’