নওগাঁর মান্দা থানার গ্যারেজে ফেনসিডিলের বহু খালি বোতল পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে থানার গ্যারেজে গিয়ে দেখা যায়, স্ট্যান্ড করে রাখা মোটরসাইকেলের ফাঁকে ফাঁকে ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিলের বহু খোলা বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
কে বা কারা থানা চত্বরের ভেতরে এই ফেনসিডিল খেয়ে এগুলো স্তূপ করে রেখেছে, তা স্পষ্ট নয়। সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত থানার ভেতরে কীভাবে এই ফেনসিডিলের বোতলগুলো জমে আছে, তা নিয়ে থানায় সেবা নিতে আসা সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তবে গ্যারেজে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই।
পুলিশ মাদকসেবীদের ধরে জেলহাজতে পাঠায়। অথচ সেই থানা চত্বরে অসংখ্য পরিত্যক্ত ফেনসিডিলের বোতল জমা হয়ে আছে।
নওগাঁ মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, ‘থানার মতো একটি সুরক্ষিত স্থানে কীভাবে ফেনসিডিলের বোতল পড়ে থাকে? এটা থানার কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শামিল। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা এবং আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।’
এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, যদি ছবি থাকে তবে পাঠান।’
সোমবার সকালে থানার গ্যারেজে স্ট্যান্ড করে রাখা মোটরসাইকেলের ফাঁকে ফাঁকে ফেনসিডিলের বহু খোলা বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ছবি: নিউজবাংলা
এরপর মেসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে তাকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মান্দা সার্কেল) মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকে প্রথম জানলাম।’
থানা একটি সুরক্ষিত স্থান হওয়ার পরও এর গ্যারেজে ফেনসিডিলের খালি বোতল কী করে পড়ে থাকে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে সেটা তো আলমত সংরক্ষণের স্থান। তবু আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’